,

নবীগঞ্জে বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টে সরকারি কাজে বাধা

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিবিয়ান সাউথ ৪০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের কাজে নিয়োজিত দি বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিঃ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ ছালামত উল্লা খান, এ ঘটনায় বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল গ্রামের কারী মোঃ আতাউর রহমান এর ছেলে সাজ্জাদুর রহমান এর নিকট থেকে দি বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিঃ কর্তৃপক্ষ একটি বাড়ী ভাড়া নেন। ঐ বাড়িটি ভাড়া নিয়ে ১৩ মাস থাকার পর প্রজেক্টের কাজ কমে আসায় বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন কোম্পানী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে প্রায় ২ মাস বাড়ির মালিক ও দি বেঙ্গল ইলেকট্রিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অবশেষে বাড়ি ভাড়া সম্পূর্ণ পরিশোধ করে বাড়িটি গত বছরের অক্টোবর মাসে ছেড়েদেন। এই বাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার প্রায় ৭ মাস পরে বাড়ির মালিলেকর ভাই রুহেল মিয়া (৪০) প্রায় সময়ই দি বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিঃ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ছালামত উল্লা খান ও স্টোর ইনচার্জ আহসান আহমেদ ইমন সহ কোম্পানীর লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছিল। এতে কোম্পানীর লোকজন তার দাবীকৃত টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে রুহেলসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর অনুমান ১২ টায় সময় রুহেল তার দলবল নিয়ে দি বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিঃ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ছালামত উল্লা খান, সেফটি অফিসার ফরিদ মৃদা, এডমিন অফিসার মিঠুন কুমার দেবনাথকে তাদের পথরোধ করে কোম্পানী গাড়ি ভাংচুর করার লক্ষে হামলা করে তাদেরকে খুন জখম করার চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তারা রক্ষা পান। পরবর্তীতে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে প্রজেক্ট ম্যানেজার ছালামত উল্লা খান বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় রুহেল ও তার ভাই সাজ্জাদুর রহমান সহ গং লোকজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই খবর পেয়ে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকতে থাকে রুহেল ও তার লোকজন কিভাবে কোম্পানীর লোকজনকে শায়েস্তা করা যায়! এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দি বেঙ্গল ইলেকট্রিক লিঃ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ ছালামত উল্লা খান, স্টোর ইনচার্জ আহসান আহমেদ ইমন প্রভাবশালী রোহেল বাহিনীর ভয়ে ৩ দিন অফিসে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় প্রজেক্ট ম্যানেজার ছালামত উল্লা খান ও স্টোর ইনচার্জ আহসান আহমেদ ইমন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, উল্লেখিত রুহেল মিয়া বিভিন্ন অযুহাতে আমাদের নিকট প্রায় ৯ লক্ষ দাবী করে। আমরা তার দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় সে আমাদের উপর হামলা ও আদালতে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


     এই বিভাগের আরো খবর